

( পলাশ পাল,নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি)
আজ ২০ অক্টোবর সোমবার - সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা (কালীপূজা) ও দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে নির্দিষ্ট সময়ে (সন্ধ্যায়) সাধারণত শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শক্তি ও শান্তির দেবী শ্যামা মায়ের আগমনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি ঘরে ঘরে চলছে পূজার আয়োজন,সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দ উচ্ছ্বাস
মূলত, দীপাবলী হলো আলোর উৎসব। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক এটি। অন্ধকারকে দূর করে শুভ ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠায় এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
দুর্গা ও কালীপূজার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য হলো দুর্গা অন্নদাত্রী উর্বরা শক্তির দেবী। অপরদিকে, কালী ঘূর্ণি প্রলয়ের দেবী। বলা হয়ে থাকে, কালী দুর্গার ললাট থেকে উৎপন্না, অর্থাৎ ললাটের সংকোচনেই ক্রোধভাবে প্রকাশিত হয় বলে কালী সদা ক্রোধান্বিত। বাস্তবিক কালি দুর্গারই রূপান্তর বিশেষ।
শাস্ত্রমতে দেবী কালীর ১১টি রূপের আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কালীপূজার এই আরাধনাকে শ্যমাপূজো বা মহানিশি পূজাও বলা হয়।
পূজা উপলক্ষে বিশেষ করে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ,নেত্রকোনার -বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ এর মন্দিরগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।(এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে ময়মনসিংহ সদর, নেত্রকোনার - বারহাট্টা এবং মোহনগঞ্জ উপজেলায় ঐতিহ্যগতভাবেই যুগের পর যুগ ধরে এই শ্যামা পূজা অত্যন্ত আরম্বরপূর্ণ এবং জমকালো ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে) পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কালীপূজাতে গৃহে বা মন্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়।লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ সদর,বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ সহ অনেক এলাকায় মন্ডপে বেশ ঘটা করেই এই শ্যামাপূজা উদযাপন হয়।
৮০ রুপায়ন টাওয়ার, লেভেল -৩ (লিফটের 3), কাকরাইল, ঢাকা 1000, সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ শরিফুল আলম, সহ প্রকাশক: মোঃ ফারুক হোসেন । মোবাইল: 01604 872 968
Millennium NEWS BD