আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতেও জোরালোভাবে চলছে পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণা।
তবে এ নিয়ে ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এক ভারতীয় নাগরিককে এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে ওই নাগরিক বলেন, সৌদি আরব সফর থেকে জরুরি অবস্থা ফেরার পর মোদির উচিত ছিল কাশ্মীরে যাওয়া, কিন্তু তিনি গেছেন বিহার রাজ্যে। ভারতীয় ওই নাগরিকের প্রশ্ন, যখন কারো বাড়িতে দূর্ঘটনা ঘটে তখন কি তার বাড়িতে যাওয়া উচিত নাকি অন্য ঘরে?
একই বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, পহেলগাঁওয়ে মোদির ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ যদি ভারতীয় জনগণকে বোকা বানাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিশ্বকে কীভাবে বোকা বানানো যাবে? মোদি তার উগ্রবাদী ও বিপজ্জনক মানসিকতা ভারতের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।মোদি শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ক্ষমতালিপ্সার জন্য ভারতকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে ভারতীয় সংবাদ চ্যানেলগুলো নিরলসভাবে মিথ্যা প্রচারণা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতীয় সিনিয়র সাংবাদিক অর্চনা তিওয়ারি।
কাশ্মীর হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্থানীয়দের বক্তব্য এবং সরকারি বর্ণনায় আকাশ-পাতাল ফারাক খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। পাকিস্তানভিত্তিক ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিওয়ারির তদন্তে সরকারি বক্তব্যের অসঙ্গতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ফলে এই অভিযানের সত্যতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।,
তিওয়ারির মতে, একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় সূত্র নিরাপত্তা সংস্থার দাবির বিরোধিতা করেছে, যা সরকারের প্রমাণকে ভুয়া এবং সংঘাত মঞ্চস্থ করার ইঙ্গিত দেয়। এক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কথায়, ‘অর্চনা তিওয়ারির সত্য প্রকাশ প্রমাণ করে যে পহেলগাঁওয়ে ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’
৮০ রুপায়ন টাওয়ার, লেভেল -৩ (লিফটের 3), কাকরাইল, ঢাকা 1000, সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ শরিফুল আলম, সহ প্রকাশক: মোঃ ফারুক হোসেন । মোবাইল: 01604 872 968
Millennium NEWS BD