মোঃ ইয়াছিন পালোয়ানঃ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সুদের টাকার জন্য কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়া শাহনাজ বেগম পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গিয়েছেন। এ খবর এলাকায় পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত সুদের কারবারি নাছিমা বেগমের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার (১লা অক্টোবর) রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এলাকায় বর্তমানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে সুদের লেনদেনকে কেন্দ্র করে শাহনাজ বেগমের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের ধারণা, নাসিমা বেগম এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হতে পারেন। ওই রাতেই পুলিশ নাসিমাকে গ্রেপ্তার করে এবং পরদিন আদালতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শাহনাজ বেগমকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে সেখানেই তিনি মারা যান।
পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শাহনাজ বেগমের পক্ষ থেকে করা মামলায় নাছিমা বেগমকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গৃহবধূ শাহনাজ বেগমের মৃত্যুর খবর উপাদিক গ্রামে পৌঁছালে সন্ধ্যার পর থেকেই বিক্ষুব্ধ জনতা ক্ষোভে নাছিমার বসতঘরে লুটপাট চালায় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার কামরুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থলে থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বেগ পেতে হয়।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও থানা-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।