নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার ছিঁড়ে পেলার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল খালেক পাটোয়ারী।
তিনি জানান, “আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভিতরে খালি মাঠের সাথে নারিকেল গাছের সঙ্গে বাঁশ এবং কাঠের ফ্রেম তৈরি করে জিয়া পরিবারের সদস্য ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ হান্নানের ছবি সহ একটি ব্যানার টাঙিয়েছিলাম। সেখানে সোহেল সহ স্থানীয় কিছু যুবক নিয়মিত ফুটবল খেলত। ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের খেলাধুলা করতে বারন করি। এরপর দেখি জিয়া পরিবারের ছবি সহ আমার টাঙানো ব্যানারটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমি মনে করি, সোহেল ব্যানারটি খুলে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সোহেল এর আগেও একবার আমার একটি ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ফুটবল খেলতে গিয়ে বল পড়ে ছিঁড়েছে। পরে আবার আমি আজ থেকে ১৫-১৬ দিন আগে সেই ফ্রেমে নতুন করে ফেস্টুন লাগাই। যা (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টা পর্যন্ত দেখেছি এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি দেখেছি সোহেল সহ আরও কয়েকজন সেখানে ফুটবল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখনও আমি তাদেরকে বারণ করে দিয়ে এসেছি, ফেস্টুনের যেনো কোনো ক্ষতি না হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখি, আমার ফেস্টুন উধাও। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার ফরিদগঞ্জে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে, সোহেল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি উপজেলার গার্ড হিসেবে কাজ করি। বিকেলে আমরা অফিসারদের সঙ্গে খেলাধুলা করি। আবদুল খালেক পাটোয়ারী আমার মামা, তাকে আমি শ্রদ্ধা করি। তার ব্যানার আমি কেন ছিঁড়বো? গতকাল প্রচণ্ড বাতাস ছিল, হয়তো সেই বাতাসেই ব্যানারটি ছিঁড়ে গেছে।”
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যানারটির কাঠের ফ্রেম এখনো যথাস্থানে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্যানারটি ফ্রেমে শক্ত করে পিন মারা ছিল। ফলে যদি বাতাসে ব্যানারটি ছিঁড়ে যেত, তাহলে সেটি ফ্রেমসহ পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কেবল ব্যানারের উপরের পোস্টারটিই নেই—ফ্রেম যথাস্থানে অটুট। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এটি আসলেই বাতাসে ছিঁড়ে গেছে, না কি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সরিয়েছে।