ঢাকা আজ বৃহস্পতিবার, ২৯শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজ ২৯শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অনুসন্ধান
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আর্টিকেল
  8. কবিতা
  9. কৃষি
  10. খেলাধুলা
  11. গণমাধ্যম
  12. গল্প
  13. জাতীয়
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. বিনোদন

ফরিদগঞ্জে কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা

প্রতিবেদক
মিলেনিয়াম নিউজ বিডি
মে ২৬, ২০২৫ ৭:২৮ অপরাহ্ণ

মোঃ ইয়াছিন পালোয়ানঃদীর্ঘ এক বছর পর আবারও ত্যাগের মহিমা নিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে কোরবানির পশু রক্ষনাবেক্ষন ও পরিচর্চায় ফরিদগঞ্জে ব্যাস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। উদ্দেশ্য সখের পশু গুলো কে যেন দেখতে সুন্দর লাগে এবং প্রত্যাশিত দামে বিক্রি করা যায়। পশুর যত্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ খামারিরা।

এ বছর চাঁদপুর জেলায় কোরবানিতে গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে ৭৬ হাজার। চাহিদার তুলনায় গরু’র মজুদ রয়েছে ৬২ হাজার। ইন্ডিয়ান গরু এবার দেশে কম আসায় দেশীয় পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই।

কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকায় গরুর খামারিরা গরু’র খাবারে কোনো প্রকার কমতি দিচ্ছেন না। প্রাকৃতিক খাবারের ওপরই নির্ভরশীলতা বেশি দেখা যাচ্ছে। কেননা, মেডিসিন ব্যবহার করলে কোনো কারনে গরু বিক্রি করা না গেলে পরবর্তীতে এগুলো নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সে জন্য বিশেষ সতর্কতার সাথে প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরু’র স্বাস্থ্য ভালো রাখার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন অনেকেই।

বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম বড় একটি উপজেলা ফরিদগঞ্জ। ফরিদগঞ্জে বরাবরই কোরবানির ঈদের গরু’র চাহিদা থাকে অনেক। স্থানীয় খামারিদের উৎপাদন করা গরু দিয়ে চাহিদা পূরণ হয় না, সে জন্য ফরিদগঞ্জের বাইরে দূর-দূরান্ত থেকেও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন ফরিদগঞ্জে।

ক্ষুদ্র খামারিরাও গরু’র যত্নে কমতি রাখছেন না, পারিবারিক ভাবে দু একটি গরু পালন করা ব্যাক্তিরা সখের পশুটির বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবছর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তারা।

কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে প্রায় ৫০ টি ভালো জাতের গরু প্রস্তুত রেখেছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের পাটওয়ারী এগ্রো ফার্মের কর্ণধার কচি পাটওয়ারী। এ ই প্রতিবেদককে তিনি জানান, আমি বড় বড় ৫০ টি গরু প্রস্তুত রেখেছি। একদম প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরু গুলো কে লালন পালন করেছি। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে শতভাগ গুরুত্ব দিচ্ছি। মানুষ চাইলে আমার খামারে এসে গরু নিয়ে যেতে পারবে। সর্বনিম্ন ১ লাখ পঞ্চাশ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্ছ ৪ লাখ টাকা দামের গরু আমার খামারে আছে। আশা করছি প্রত্যাশিত দামে বিক্রি করে এবার লাভবান হতে পারবো।

প্রতি বছরই কোরবানির মৌসুমে ঝিনাইদহ থেকে গরু নিয়ে ফরিদগঞ্জে আসেন ব্যবসায়ী কালু মিয়া, এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, ফরিদগঞ্জ বড় উপজেলা হওয়ায় এখানে গরুর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। আমরা এখানে গরু বিক্রি করে বেশি লাভ করতে পারি, সে জন্য প্রতি বছর এতো দূর থেকে ছুটে আসি।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গরু’র হাট গুলো ইজারা দেওয়ার কাজও এগিয়ে চলছে। সবমিলিয়ে পশুর রক্ষনাবেক্ষন সহ কোরবানির ঈদ কে ঘিরে প্রস্তুতি চলছে ভালো ভাবে।

কমেন্ট করুন

সর্বশেষ - সারা বাংলা