মকবুল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, নজরুলকে ঘিরে এই ত্রিশালে গড়ে উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজসহ নানান প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো-সহ বিভিন্ন স্থাপনা নজরুলের সৃষ্টির নামে রাখা হয়েছে। তাঁর কবিতা, গান, পালা মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। তেমনটি পুরো ময়মনসিংহের রূপ যেন নজরুলময় হয়ে উঠে, সেটা আমার চাওয়া।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত নজরুল জন্মজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে আজ ২৭মে মঙ্গলবার বিকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য এসব কথা বলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজনে করে।
প্রধান অতিথি বলেন, নজরুলের যে বিশালতা, সৃষ্টির এতো ব্যাপকতা, এটা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি আরো বেশি বুঝতে পেরেছি। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রতিভা ছিল এ মহান ব্যক্তির। নজরুলের গতি পুরো জাতিকে অনুপ্রাণিত করে। শহর, গ্রাম সব জায়গাতেই নজরুলের লেখা বা কর্ম ছড়িয়ে দিতে হবে আমাদের। ছাপ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে প্রতিটি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে। তবেই সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে নজরুলময় ময়মনসিংহ।
স্মারক বক্তৃতায় কবি ও নজরুল গবেষক রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, নজরুলকে প্রতিষ্ঠিত করতে এই ত্রিশালবাসী সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ করেছে। ত্রিশালের ভূমিতে জন্ম না হলেও আমরা মনেকরি নজরুল এখানেই জন্মেছেন। সরকার নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে গেজেটভুক্ত করেছে। গণমানুষের গান গাওয়া কবির গবেষণায় ত্রিশালে নজরুল গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠা প্রয়োজন।
স্মারক বক্তা নজরুল গবেষক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, আমার জন্য যে ব্যবস্থা প্রয়োজন সেটা আমি চেয়েছি, এমনটাই বিদ্রোহ করেছেন নজরুল। তাঁর বিপ্লব এখনো থেমে নেই, চলমান। কবিতার প্রায়োগিকতা এখনো থামেনি। কিন্তু কষ্টের বিষয় নজরুলের অনেক কিছু অনেকের নামে, এমনটা হতে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, কবির জীবনের বিশাল এক অধ্যায় জড়িয়ে আছে ময়মনসিংহে। তাঁর সৃষ্টি ভুলার নয়। এ আয়োজনে সহযোগিতায় সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুন নাহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী, স্কুল-কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।